সাংগঠনিক নিয়মিত কর্মসূচি সমূহ

০১। মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি নবায়ন: জেলা থেকে ইউনিট পর্যন্ত সকল কমিটি মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার পূর্বেই নবায়নের ব্যবস্থা করতে হবে। কোন কারনে মেয়াদের মধ্যে সম্ভব না হলে উপযুক্ত কারণ ব্যাখ্যা করে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কমিটি থেকে যৌক্তিক মেয়াদ বৃদ্ধি করা যাবে।

০২। বার্ষিক কর্মী সম্মেলন : কমিটির মেয়াদ বছর পূর্ণ হবার আগে পরে যে কোন সুবিধা জনক সময়ে, অথবা অক্টোবর-মার্চ এ সময়ের মধ্যে মৌসুম ভালো বিধায় এসময়ে ও এ বার্ষিক সম্মেলন করা যেতে পারে। এই বার্ষিক সম্মেলন উম্মুক্ত ময়দানে কিংবা মিলনায়তনে করা যেতে পারে। কেন্দ্র থেকে ইউনিট পর্যন্ত সকল কমিটির একটি বার্ষিক সম্মেলন আয়োজন করা বাধ্যতামূলক।

০৩। বছরে কমপক্ষে একবার সংগঠনের সর্বস্তরে (কেন্দ্র থেকে ইউনিট পর্যন্ত) প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা: ত্বরিকত দর্শন, দাওয়াতে খায়ের বাস্তবায়ন পদ্ধতি, দপ্তর পরিচালনা, সাংগঠনিক পদ্ধতি ইত্যাদি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করে কর্মীদের নির্দেশিত কাজের যোগ্য গড়ে তোলার ব্যবস্থা করতে হবে। যেহেতু এটি আমাদের অভ্যান্তরিন এবং কর্মীদের সাথে সংশ্লিষ্ট, তাই এটি ঠান্ডা বা শুকনো মৌসুমে ছাড়াও আয়োজনে তেমন কোন সমস্যা হবে না বিধায় বছরে যে কোন সময়ে বা অন্যান্য কর্মসূচির সাথে সমন্বয় করে সময় নির্ধারণ করে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে। উঞ্চ মৌসুমে সমস্যা না হলে, এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর সময়ের মধ্যে এ কর্মসূচি আয়োজন করা যেতে পারে।

০৪। আওতাধীন কমিটির সাথে মতবিনিময়: কেন্দ্র থেকে ইউনিট/ওয়ার্ড পর্যৗল্প উর্ধ্বতন কমিটি গুলো তাদের আওতাধীন কমিটি গুলোর সাথে বছরে কমপক্ষে দুইবার মতবিনিময়ে মিলিত হবে। নিম্নতর কমিটিকে উর্ধ্বতর কমিটির দপ্তরে আমন্ত্রন জানিয়ে এবং নিম্নতর কমিটির দপ্তরে দাওয়াত গ্রহণ করে এ কাজঠি সম্পন্ন করা যাবে। তবে নিম্নতর কমিটি ভিসিট করে তাদের দাপ্তরিক কার্যক্রম তদারকি, সাংগঠনিক ও আর্থিক প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করা জরুরী। এ কাজ গুলো অভ্যন্তরীন এবং কর্মী সংশ্লিষ্ট সেহেতু এগুলো যেন কোন মৌসুমে এমন কি বর্ষা মৌসুমে করাতে ও তেমন সমস্যা নেই বিধায় সময় সমন্বয় করে বছরের সুবিধাজনক সময় গুলোকে ভাগ করে অন্তত দুইবার এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে।

০৫। দাওয়াতে খায়র: মানুষকে মসজিদে-মসজিদে, মহল্লায়-মহল্লায় সুবিধাজনক স্থানে দাওয়াত দিয়ে এনে শরিয়তের বিভিন্ন মাসয়ালা-মাসায়েল বয়ান করার যে দায়িত্ব বর্তমানে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের উপর অর্পিত হয়েছে- তাই “দাওয়াতে খায়র”। এ কাজ সংগঠনের সর্বস্থরে অবশ্যই পালনীয়। এ জন্য উর্ধ্বতন কমিটি গুলো মুয়াল্লিম নির্ধারন ও তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। যার নাম ‘দাওয়াতে খায়র’ বলা হবে। দাওয়াতে খায়র সংক্রান্ত বিশেষ নির্দেশাবলী কেন্দ্রীয় পরিষদ থেকে লিখিতভাবে দেওয়া হবে। আর এ দাওয়াতে খায়র সাপ্তাহিক পাক্ষিক- মাসিক হিসেবে সামর্থ্য অনুযায়ী আয়োজন করতে হবে।

০৬। দাওয়াতি মাস: প্রতি বছর মাহে রমযান’র ১-৩০ পর্যন্ত সমগ্র মাস গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের সর্বস্থরে দাওয়াতি মাস পালিত হবে। গাউসুল আজম জিলানী (রা.)’র শুভ জন্মদিন পহেলা রমযান এ দাওয়াতি মাস উদ্ভোদন করা হবে এবং মাসের শেষ প্রান্তে ২৯/৩০ রমযানে ঈদ শুভেচ্ছা, (এস এম এস) ঈদকার্ড ইত্যাদি বিতরণের মাধ্যমে মাসের সমাপ্তি ঘটবে। রমযান মাসে পালনিয় কর্মসূচি বিষয়ে ইতোপূর্বে বর্ণিত কার্যক্রম থেকে সুবিধাজনক ও সামর্থ্যনুযায়ী বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হবে। বিশেষ করে এ বিশেষ মাস। দাওয়াতি মাস উপলক্ষে অবশ্য পালনিয় কার্যক্রম গুলো হলো :  (ক) পীর ভাই-বোন জরীপ (খ) নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযান (গ) সুন্নিয়ত পরিস্থিতি জরিপ: অন্যান্য দরবার, মসজিদ-মাদ্রাসা খানেকাহ,বাতেলের প্রভাব অবস্থান উল্লেখযোগ্য আলেম ব্যাক্তিত্ব ইত্যাদি প্রাসঙ্গিক তথ্য সংগ্রহ এক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান, অন্যান্য সুন্নিদের অবস্থান এবং বাতেলের অবস্থানের তুলনামূলক চিত্র প্রস্তুত করা। (ঘ) মাসিক তরজুমান পাঠক, গ্রাহক ও এজেন্ট সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য কাজ করা। (ঙ) সংগঠনের দাওয়াত প্রচার পত্র সহ ব্যাক্তি বিশেষ, প্রতিষ্ঠান, প্রশসিন সহ সম্ভাব্য সর্বক্ষেত্রে সংগঠনের দাওয়াত প্রদান। (চ) আনজুমান ট্রাস্ট পরিচালিত মাদ্রাসা সমূহের জন্য যাকাত-ফিতরা সংগ্রহ। (ছ) মাহে রমযানের আহবান সম্বলিত ক্যালেন্ডার,তোহফা,পোষ্টার,হ্যান্ডবিল এবং প্রয়োজনীয় মাসায়েল সহ গুরুত্বপূর্ণ নসীহত দাবী-দাওয়া ইত্যাদি সংক্রান্ত প্রচার পত্র প্রকাশনা বিতরণের ব্যবস্থা করা।

০৭। পীরভাই সম্মেলন: সংগঠনের উদ্দ্যেগে সিলসিলায়ে আলিয়া কাদেরীয়া তথা আমাদের হুজুর কেবলার মুরীদ ভক্তদের নিয়ে বছরে একটি পীরভাই-বোনদের জন্য প্রীতি সমাবেশ করা দরকার। এটা তরিকতের ভাই-বোনদের মিলনমেলা এবং সিলসিলার ‘দাওর’ বা আমাদের সিলসিলার দৈনন্দিন অজিফা, তা’লিম, শরিয়ত-তরিকতের মৌলিক শিক্ষা, খিদমতের সুফল ইত্যাদি তুলে ধরার জন্য, বিশেষত পীর ভাই পীরভাইয়ের পরিচিতি ও সর্ম্পক মজবুত করার জন্য বছরে একবার আয়োজন করা সিলসিলাহর উন্নয়ন এবং সংগঠনের নতুন কর্মী সৃষ্টির জন্য জরুরি। তবে, পীরবোনদের জন্য পৃথক পর্দাযুক্ত ব্যবস্থা করতে হবে। ইউনিট-ইউনিয়ন/ওয়ার্ডস্থরে এ কর্মসূচি বেশি ফলপ্রসু এবং জরুরি। এই লেভেলে প্রতি প্রতি বছর এবং থানা জেলা লেভেলে অন্তত দুইবছরে একবার এ প্রীতি সমাবেশ আয়োজন করতে হবে। তবে, একে পরিস্থিতি ও সময় বুঝে আমাদের অন্যান্য পালনীয় ধর্মীয় দিবস উপলক্ষে একই সাথে সমন্বয় করে আয়োজন করা যেতে পারে। নভেম্বর-ফেব্রুয়ারির মধ্যে যে কোন সময়ে এ আয়োজন হতে পারবে।

০৮। গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ, মহিলা শাখা: মহিলাদের দ্বীনি কাজে সক্রিয় এবং সংগঠিত করা সময়ের এক অলংঘনীয় দাবী। এ জন্য ইতোপূর্বে হুজুর কেবলা, মুর্শিদে বরহক, আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ (ম.জি.আ)’র অনুমতি পাওয়া গিয়েছিল। আনজুমান ট্রাস্টের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা সাপেক্ষে এ নতুন আইডিয়ার সংবেদনশীল এ নারী সমাজকে শীঘ্রই সংগঠিত করাবার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। এ জন্য বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান কে নিয়ে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরী করার উদ্দ্যেগ নেওয়া হয়েছে। সকল নীতিমালা ঠিক হবার পরই ইনশআল্লাহ্ আমরা সৌভাগ্যবান মা বোনদের দায়িত্ব অর্পন করে কাজ শুরু করবো। আল্লাহ আমাদের সহায় হোক।

০৯। সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ: আল্লামা শেখ সাদী (রহ.) বলেন “ত্বরিকত ব জুজেখিদমতে খলক্কে নিস্ত-না তসবিহ না সাজ্জাদাহ ওয়া দলকে নিস্ত” সুতরাং সেবা ছাড়া ত্বরিকত অর্থহীন শুধু তসবিহ-সেজদা বা আলখেল্লাতে ত্বরিকত হয় না। সেবাই ত্বরিকতের প্রধান সিড়ি। আর সেবা ও দুই প্রকার। আধ্যাতিœক ও জাগতিক। হক্কুল্লাহ আর হক্কুল ইবাদ দুইটিই আদায়ের দায়িত্ব আমাদের উপর বর্তায়। আমরা মানুষের জন্য দ্বীনি খিদমত দিয়ে আধ্যাতিœক দায়িত্ব পালন করছি। সাথে সাথে তাদের দুনিয়াবী প্রয়োজন এর অনেক কাজ করতে পারি নিজেদের সামর্থ্য অনুসারে। যেমন ঃ (ক) শীত মৌসুমে গরীবদের জন্য শীতবস্ত্র বিতরন (খ) রমযানে ইফতার সামগ্রী বিতরন (গ) ঈদ সামগ্রী পোশাক ইত্যাদি বিতরন (ঘ) গরীব শিশুদের ফ্রি খতনার ব্যবস্থা করা, মেয়েদের কান ছেদনের ব্যবস্থা করা (ঙ) সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প আয়োজন কিংবা এতে সহায়তা দান। (চ) গরীব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরন (ছ) ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এককালীন বৃত্তির ব্যবস্থা করণ (জ) এলাকাবাসিদের সহায়তা নিয়ে হত দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের বিয়ের ব্যবস্থা করা (ঝ) নিজ নিজ এলাকার সমস্যা ও অসুবিধার বিষয় বিবেচনা করে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করা (ঞ) প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ত্রাণ বিতরন ইত্যাদি। মোট কথা মানুষকে জাগতিক সেবা দানের মাধ্যমে আধ্যাতিœক সেবা গ্রহনে অধিকতর আগ্রহী করে গড়ে তুলতে হবে।

১০। মাদ্রাসা ও খানকাহ প্রতিষ্ঠা: আমাদের হুজুর কেবলা তৈয়্যব শাহ (রহ.) বলতেন “মাদ্রাসাসে আলেম নিকেলতে-আউর খানেকাহ সে অলী নিকেলতে” তাই আমাদেরকে সাচ্চা আলেম তৈরীর জন্য যেমন মাদ্রাসা কায়েমের চেষ্টা চালাতে হবে ঠিক তেমনি খানেকাহ প্রতিষ্টার ও প্রয়াস চালাতে হবে। মাদ্রাসা সর্ম্পকে হুজুর সিরিকোটির যে অমূল্য বাণী তা-ই গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেছে। আর তা হলো ‘কাম করো, দ্বীন কো বাচাও, সাচ্চা আলেম তৈয়ার করো’। তাই যে অঞ্চলে সুন্নিয়ত ভিত্তিক মাদ্রাসা নেই সেখানে কায়েমের চেষ্টা চালাতে হবে। যেখানে সুন্নি মাদ্রাসা বিশেষত, আমাদের আনজুমান পরিচালিত মাদ্রাসা রয়েছে সেগুলিকে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া আমাদের অন্যতম দায়িত্ব। তাছাড়া নিজ এলাকায় সুন্নি মাদ্রাসা না হওয়া পর্যন্ত সেখানকার মাদ্রাসা ছাত্রদেরকে চট্টগ্রাম জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসা বা ঢাকা মোহাম্মদপুরস্থ কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে সাচ্চা আলেম হিসেবে তৈরী করে, নিজ নিজ এলাকায় দ্বীনি কাজে নিয়োগ করার চেষ্টা করতে হবে। পরবর্তিতে নিজ এলাকায় মাদ্রাস কায়েম সম্ভব হলে এসব আলেমদেরকে সেখানে শিক্ষকতার দায়িত্ব দেওয়া সম্ভব হবে। অন্যথায় মাদ্রাসা কায়েম হলেও উপযুক্ত সুন্নি আলেমের অভাবে তা উদ্দেশ্যহীন পথে এগুতে থাকবে। যা মোটেও কাঙ্খিত নয়। মাদ্রাসার চেয়েও খানকাহ প্রতিষ্ঠার এক প্রকার সহজতর। কারণ এজন্য বেশি জায়গার দরকার হয় না। তদুপরি সরকারি কোন নিয়মের বাধ্যবাধকতাও থাকে না। মাদ্রাসার চেয়েও খানকাহ প্রতিষ্ঠা আমাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করতে হবে। কারণ কানেকাহ শরীফ আমাদের একান্ত নিজস্ব ত্বরিকতের আস্তানা হিসেবে ব্যবহৃত হবে এবং এখানে বসে অন্যান্য দ্বীনি কাজ করা সহজ হবে। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে খানকাহ প্রতিষ্ঠা করার প্রয়াস চালাতে হবে। কমপক্ষে জেলা পর্যায়ে একটি খানকাহ থাকা বাধ্যতামুলক মনে করতে হবে। প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার উদ্দ্যেগ নেওয়া যেতে পারে-যা সংগঠনের প্রতি অন্যান্যদের আগ্রহ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

উক্ত ঘোষিত কর্মসূচিগুলো যথাযথভাবে নিয়মিত পালন করার জন্য আজকের সম্মেলন থেকে নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। যে কোন বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যার জন্য কেন্দ্রীয় পরিষদের স্মরণাপন্ন হবার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। নি¤œতর কমিটিকে তত্ত¡াবধান ও মনিটরিং করার মাধ্যমে এ কাজ গুলো আদায় করে নিতে হবে। কাজের প্রতিবেদন (লিখিত ভাবে) গ্রহণের জন্য বারবার তাগিদ দিতে হবে। প্রয়োজনে সদস্য সংগ্রহ অভিযান, তরজুমান পাঠক-গ্রাহক এজেন্ট বৃদ্ধি, সংগঠনের ইউনিট বৃদ্ধি সহ সন্তোষজনক সাংগঠনিক তৎপরতার জন্য বার্ষিক বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা করে কর্মীদের উৎসাহ বৃদ্ধি করতে হবে।

(আল্লাহ আমদের সকল প্রয়াস কবুল করুন, আমিন-বেহুরমতি সৈয়্যদিল মুনসালীন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)

“এসো নবীন দলে দলে, গাউসিয়া কমিটির পতেকার তলে”